কস্তুরী সেনের দুটি কবিতা

কস্তুরী সেন

ক্ষণং মূঢ়

ঝকঝকে রান্নাঘর, ধারে ধারে এত কী যে খোপ

মুখে তো বলতে হয়, এসব ছিল না বলে বড় সুখে গেছে দিনকাল!

পুত্রসঙ্গ দু-একবার, বৎসরান্তে --

বধূটিও দিনান্তে ফিরেছে

হাইহিল যাতায়াত, ঘরে ফিরে ফের যন্ত্র খুলে বসা দেখে

মুখে যা বলতে হয়, বলেছেন

'ছেলেটার যত্ন হয় না। এতও কি ভাল?'

মনে মনে যেটুকু বলার, তা এখানে, নিরালা রসুই

ছিয়াত্তর বছরের হাড়ভাঙা চোখে

'বেঁচে থাক বেঁচে থাক!' ; শোধবোধ আলো




 আরেকটি প্রেমের গল্প

তুই তো জন্মান্ধ, তোর দীপজন্ম এই হাতে

চমৎকার এই দীপাধার

দ্যাখ যা এনেছি এই এলোচুলে, সব তোর সব।

কতবার সতর্ক করেছি, শুধু বলা হয়নি

ও কতটা দেবে তোকে?

জানে তোর!

ছাড়াজামা, ডিঙিঘ্রাণ, চাঁদ?...

ঈশ্বর জানেন আমি বলব না তবু কিছু

পাড়াভর্তি লোকজন, ক্লাসেরও সকলে –

শুধু কী নাম, অতনু, যদি ফের তোকে ছেড়ে যায়

বান্ধবীজন্মের দিব্যি, আমি থাকব।

নে রিম্পি, নে যেখানে খুশি তোর মাথা রেখে কাঁদ!






কস্তুরী সেন

পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *